ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী করোসল ফল ও পাতার উপকারীতা ও অপকারিতা
ইনসুলিন পাম্প দিয়ে ডায়াবেটিস পরিচালনা করা
ক্যান্সার শব্দটা ভয়ে আঁতকে ওঠার জন্য যথেষ্ট । ক্যান্সার কোন নির্দিষ্ট কারণে হয় না। ক্যান্সার রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে ওঠার চাবিকাঠি এখনো অধরা। ক্যান্সারের আতংক সহজেই ঝাঁকিয়ে বসে। চিকিৎসকের ভাষায় এটি একটি মাল্টি ফ্যাকেটেরিয়াল ডিজিজ। আপনার শরীরে যদি ক্যান্সার ধরা দেয় বা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কম হয় তাহলে আপনার জন্য করোসল এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অপরিহার্য
করোসল এর বিভিন্ন উপাদান আপনার ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করবে এবং আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। মূলত শরীরে্র কোন কোষের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে কার্যকরী করোসল গাছ চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন আসার আলো দেখাচ্ছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃকরোসল ফল কি
- করোসল ফলের পুস্টি উপাদান
- ক্যান্সার প্রতিরোধে করোসল ফল এর উপকারিতা
- করোসল পাতার উপকারিতা
- করোসল পাতা খাওয়ার নিয়ম
- করোসল ফলের অপকারিতা এবং ঝুঁকি
- ডোজ এবং সতর্কতা
- শেষ কথা
করোসল ফল কি
করোসল ফল কি, এই ফলের কাজই বা কি এটা ক্যান্সার প্রতিরোধে কতটুকু কার্যকরী এবং এর উপকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে আপনি এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন।করোসল গাছ অনেক উপকারী এবং ঔষধি গুনাগুনে ভরপুর একটি গাছ ।করোসল ফল।করোসল ফল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের।করোসল ফল ও পাতা ক্যান্সার প্রতিরো ধ করার ক্ষমতা রাখে।
করোসল ফল কেমো থেরাপির কাজ করতে থাকে।করোসল ফল কাঁটা বিশিষ্ট একটি ফল যা তীব্র গন্ধ যুক্ত।করোসল ফল বাহিরে থেকে কাঁঠালের মতো দেখতে এবং ভিতরে তরমুজের মতো দেখতে ।তবে সাদা রঙ্গের হয় এই ফলটি।করোসলের পাতা ও অনেক উপকারী। অর্থাৎ করোসল ফল ও পাতা ও অনেক উপকারী এবং এর পাতার রং সবুজ রঙের হয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ কার্য করে করসল বলতে সম্ভবত পরসল ফল (Soursop বাAnnona muricata) কে বুঝানো হয়েছে। যা বাংলাদেশ ও ভারতে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে জনপ্রিয় ।এটি একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল,যা টক আতা বা গ্রাভিওলা নামেও পরিচিত। অনেক সূত্রে এটিকে ক্যান্সারের প্রাকৃতিক চিকিৎসা বলে প্রচার করা হয় কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে এর প্রমাণ সীমিত। চিকিৎসকের মত অনুযায়ী করোসল ফল এবং করোসল পাতা উভয়ই ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসাবে ভূমিকা পালন করে।
করোসল ফলের পুষ্টি উপাদান
করোসল বিভিন্ন পুষ্টিগুণের ভরপুর ভরপুর।করোসল ফল খেলে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।এই ফলের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানতে অনেকেই আগ্রহী।করোসল ফলের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।করোসল ফলের পুষ্টি উপাদান হিসেবে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি। প্রতি ১০০ গ্রামে থাকা করোসল ফলের পুষ্টি উপাদান নিম্নে তুলে ধরা হলো-
- প্রোটিন -০.৮গ্রাম
- ফসফরাস-১৯মিলিগ্রাম
- চর্বি-০.২গ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম-২৩৩মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম-২৫০মিলিগ্রাম
- ফলিক এসিড-১৪এমসিজি
- এনার্জি-৬৪ক্যালোরি
- ভিটামিন সি-১৯মিলিগ্রাম
- ফাইবার-১.৮গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-৪০মিলিগ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট-১৫.৩গ্রাম ইত্যাদি।
ক্যান্সার প্রতিরোধে করোসল ফল এর উপকারিতা
করোসল ফলে ক্যান্সার বিরোধী সম্ভাবনা প্রধানত এর বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ গুলির উপর নির্ভর করে। গবেষণায় দেখা গেছে এতে ২১২টিরও বেশি ফাই টোকেমিক্যাল রয়েছে ,যার মধ্যে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাসিটোজেনিন সবচেয়ে গুরুতপূর্ন।এই AGEsএর মধ্যে অ্যানোনাসিন,অ্যানোমুরিসিন এ,বি,সি,ই,মুরিকাটোসিন সি, বুলাটাসিন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ,অ্যালকালয়েড, (যেমন কোক্লরিন,রেটিকুলিন,)ফেনোলিকযৌগ(ক্যাম্পফেরল,ক্যাটেনিক,কুয়ের্সিটিন)এবংফ্ল্যাভোনয়েডগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি ভূমিকা পালন করে।
করোসল ফলে (Annonaceous acetogenins)নামক যৌগ রয়েছে, যা ল্যাবরেটরি গবেষণায় ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। এটি পুষ্টিকর ও যাতে ভিটামিন সি, পটাশিয়া্ম, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
প্রধান উপকারিতা গুলো ,যেমন-
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সম্ভাব্য সাহায্যঃ গবেষণায় দেখা গেছে এটি ফুসফুস , লিভার, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার কোষ কে দমন করতে পারে ।যা কেমো থেরাপির মতো কাজ করে কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম। জাপানের এক গবেষণায় বলা হয়েছে এটি কেমোথেরাপীর ওষুধ অ্যাড্রিয়ামাইসিনের চেয়ে ১০,০০০ গুন বেশি কার্যকর। নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- টিউমারের বৃদ্ধি ও বিস্তার রোধঃ করোসলের ফলে পাতার নির্যাস এক্সপ্রেশন কমায়, যা স্তন এবং ফুসফুস ক্যান্সারে কোষ বিভাজন ত্বরান্বিত করে।এটি NF-kB,PI৩k/AKtএবংMAPKপাথওয়েগুলি বাধাগ্রস্ত করে মেটাস্টাসিস রোধ করে। প্রোস্টেট ক্যান্সার কোষ (PC-৩)এর ফলের নির্যাস বিস্তার রোধ করে।
- এন্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রভাবঃফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনোলিক যৌগগুলি ROS নিরপেক্ষ করে ডি এন এ ক্ষতি প্রতিরোধ করে, যা ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। লিভার ক্যান্সার কোষ এ এটি ROS- মধ্যস্থিত অ্যাপোপটোসিস ঘটায়।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ পটাশিয়ামের কারণে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ।
- হজম শক্তি উন্নয়নঃফলে ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সাহায্য করে।
- ইমিউনিটি বৃদ্ধিঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা সাধারন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- অন্যান্যঃ ওজন নিয়ন্ত্রণ, হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং ত্বকের জন্য উপকারী। পাতার চা করে খেলে কিডনি ও লিভারের সমস্যায় সাহায্য করতে পারে।
- বৈজ্ঞানিক প্রমাণঃ ল্যাব্রেটরি এবং প্রাণী গবেষণায় এর কার্যকারিতা প্রমাণিত। স্তন ক্যান্সারে চুনোটি মডেলে পাতার নির্যাস টিউমার ৩২% কমিয়েছে। কোলন ক্যান্সারে অ্যাজোক্সিমিথেন-ইনডুসড যার্টে ৭২.৫%অ্যাবের্যান্ট ক্রিপ্ট ফোকাই রিডাকশন দেখা গেছে।ফুসফুস,প্যানক্রিয়াটিক,প্রোস্টেট,লিভার, সার্ভিকাল এবং লিউকেমিয়ায় ও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে
করোসল পাতার উপকারিতা
করোসল পাতার উপকারিতা অনেক। করোসল পাতা সবুজ রঙের, যা করোসল গাছে পাওয়া যায়। এর অনেক ওষুধই গুণাগুণ রয়েছে, যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই পাতায় থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান কেমোথেরাপীর চাইতে ১০ হাজার গুন বেশি শক্তিশালী। করোসল পাতা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে, যার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রথমতঃ আন্টি ইনফ্লেমেটরি প্রভাব ।পাতার চা প্রদাহ কমায়, যা আর্থাইটিস বা অন্যান্য প্রদাহ জনিত রোগের উপকারী।এটি সাইটোকাইন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং জয়েন্টের ব্যথা হ্রাস করে। ঐতিহ্যবাহীভাবে এটি পেটের প্রদাহ, সাইটিস বা লিভার সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।
দ্বিতীয়ত ঃডাইজেস্টিভ হেলথ। পেটের আলসার রক্ষা করে, পাতা হজম উন্নত করে, এবং কনস্টিপেশন প্রতিরোধ করে এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী হেলিকোব্যাকটার পাইলোরির মতো ব্যাকটেরিয়া মোকাবিলা করে ।এছাড়া,এটি স্টেস এবং ঘুমের সমস্যা কমায়,যা ইনসোমনিয়ায় সাহায্য করে।
তৃতীয়ত ঃ ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ।পাতার এক্সট্র্যাক্ট রক্তচাপ কমায় এবং ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়ায়, যা টাইপ- ২ ডায়াবেটিসে উপকারী। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এটি ভালো কারণ এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে। অতিরিক্ত ভাবে এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে ফাংগাল ইনফেকশন মোকাবিলা করে এবং স্কিন হেলথ উন্নত করে।
করোসল পাতা খাওয়ার নিয়ম
যেকোনো জিনিস সঠিক নিয়মে খেলে তার সঠিক উপকারিতা পাওয়া যায়। যে কোন জিনিস সঠিক নিয়মে না খেলে ভালোর পরিবর্তে মন্দটাই বেশি হতে পারে। করোসল পাতা খাওয়ার নিয়ম আছে ,যদি করোসল পাতা নিয়ম মেনে খান,তাহলে আপনি করোসল পাতার সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পাবেন। করোসল পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে, প্রথমে বেশ কিছু যেমন, ১০থেকে ১৫ টি পাতা সংগ্রহ করতে হবে।
এরপর পাতাগুলো সুন্দর ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার পাতা, পরিষ্কার পানি দিয়ে চুলায় গরম করতে হবে। তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট করোছল পাতা বিশিষ্ট পানি গরম করার পর তা চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। তার পর ছেঁকে নিতে হবে। তাহলে তৈরি হয়ে যাবে করোসল পাতার চা। আপনি চাইলে গরম পানি ও খেতে পারেন কারন এতেও অনেক উপকার রোয়েছে।আবার এ পানি ঠান্ডা করেও খেতে পারেন। প্রতিদিন তিন বেলা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর করোসল পাতা্র চা খেতে পারেন এতেও খুব উপকার পাওয়া যাবে।
করোসল ফলের অপকারিতা এবং ঝুঁকি
করোসল ফলের উপকারিতা সত্ত্বেও এর অপকারিতা উপেক্ষা করা যাযেও। ফলটি স্বাভাবিক খাদ্য হিসেবে নিরাপদ, কিন্তু বীজ এড়িয়ে চলতে হবে কারণ তাতে টক্সিন রয়েছে। সাপ্লিমেন্ট এর ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়ে যায়, কারণ FDA- অনুমোদিত ডোজ নেই।
প্রধান অপকারিতাঃযেমন-
- হাইপোটেনশন এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়াঃ এটি রক্তচাপ এবং রক্ত সর্করা কমাতে পারে, যা ডায়াবেটিস হাইপোটেনশন রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। অ্যান্টি ডায়াবেটিস বা অ্যান্টি হাইপার টেনসিড ওষুধের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন ঘটে।
- নিউরোটক্সিসিটিঃঅ্যানোনাসিন সমৃদ্ধ AGEs মস্তিষ্কের ডোপামিনার্জক নিউরন ধ্বংস করে পারকিনসন-সদৃশ লক্ষন সৃস্টি করে। গুয়াদেলুপে অধ্যয়নে দেখা গেছে করোসলের অতিরিক্ত সেবন অ্যাটিপিক্যাল পারকিনসনিজমের সাথে যুক্ত। প্রাণী মডেলে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারটাই প্রোটিন ফসফরিলেশন বাড়িয়ে নিউরোডিজেনারেটভ রোগ তরান্বিত করে।
- গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যাঃ অতিরিক্ত ডোজ এ বমি, ডায়রিয়া হতে পারে। লিভার, কিডনিতে টক্সি সিটি দেখা গেছে প্রাণী গবেষণায়।
- ইমেজিং টেস্টে ব্যাঘাতঃPET স্ক্যানে রেডিও অ্যাকটিভ ড্রাগের অ্যাবজর্পশন বাধাগ্রস্ত করে,ফলে ফলাফল ভূল হয়।
প্রথত ঃ এটি পারকিনশন রোগের মত লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে, যেমন চলাফেরার সমস্যা কাঁপনি, স্নায়ু ক্ষতি। উদাহরণস্বরূপ ল্যাব্রেটরি পরীক্ষায় করোসলের নিয়মিত সেবন অ্যাটিপিকাল পারকিনসনিজমের ঝুকি বাড়ায়, যা একটি নিউরোলজিক্যাল অবস্থা যা পারকিনসনের মতো কিন্তু আরো জটিল।এই ঝুকি বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে বেশি, কারণ স্নায়ুকোষগুলি সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দ্বিতীয়ত ঃকরোসল ফল ক্যান্সার চিকিৎসায় জনপ্রিয় হলেও মানুষের উপর কোন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নেই। ল্যাব পরীক্ষায় এটি ক্যান্সার কোষ মারতে পারে বলে মনে করা হয়, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এর নিরাপত্তা প্রমাণিত নয়। আর এ কারণে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন যে, এটি চিকিৎসার পরিবর্তে ব্যবহার করলে রোগের অগ্রগতি বাড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ কেমো থেরাপির সাথে মিশিয়ে খেলে এটি ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে।
তৃতীয়ত ঃ পাচনতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয় ।অতিরিক্ত সেবন হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়া ,বমি ,ঘর্ম, এবং অন্ত্রের অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এটি এন্টি মাইক্রোবিয়াল হওয়ায় ভালোবাসা হলেও অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করে পেটের ভারসাম্য নষ্ট করে ।এটি গর্ভাবস্থায় বিপজ্জনক, কারণ এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায় এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষতি করতে পারে ।এছাড়া রক্ত চাপের ওষুধ বা ডায়াবেটিসের চিকিৎসার সাথে ইন্টার অ্যাকশন ঘটে,যা ফাটানো হাই প্রোটেনশন বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া
ডোজ এবং সর্তকতা
নির্মাতাদের সাজেশন অনুসারে ক্যাপসুলে ৫০০-১৫০০ মিলিগ্রাম বা নির্যাসে ১-৪ মিলিমিটার দৈনিক, কিন্তু এটি নিরাপদ নয়। লিভার, কিডনি, গর্ভবতী,স্তন্যদানকারী মহিলা, শিশু রোগীদের এড়িয়ে চলতে হবে। কোন ক্যান্সার চিকিৎসায় এটি প্রতিস্থাপন নয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করবেন না।
শেষ কথাঃ
করোসল ফল ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতি ময়, বিশেষ করে এর অ্যাসিটোজেনিন এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ গুলির জন্য। ল্যাব এবং প্রাণী গবেষণায় এটি পোস্টেড, স্তন, কোলন সহ বিভিন্ন ক্যান্সারে কার্যকর দেখিয়েছে,কিন্তু মানুসের উপর ক্লিনিক্যাল প্রমানের অভাব রয়েছে।অপকারিতা, বিশেষ করে নিউ্ররোটক্সিসিটি, এর ব্যাপক ব্যবহারকে সীমিত করে ।
তাই এটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা যায়, কিন্তু চিকিৎসা হিসাবে নয়। এবং এটা আরো গবেষণার দরকার এবং যেকোনো ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন সুস্থ জীবন যাপন এবং নিয়মিত স্ক্রিনিং ই ক্যান্সার প্রতিরোধের সেরা উপায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url