গভাবস্তায় চালতা ফল খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা




আপনারা যারা চালতা স্মপকে জানতে চান যে,এর উপকারিতা,অপকারিতা এবংগভাবস্তায় এটা খাওয়া্র নিয়ম কি তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন।এব্যাপারে নিণ্মে আলোচনা করছি ।আপনাদের মোধদে অনেকেই চালতার আচার খেয়েছেন । অনেকে চালতা ফল চিনেন।চালতার ছবিটি নিচে দিলাম দেখার জন্য।














পোস্ট সুচিপত্রঃ

  • ভূমিকা
  • চালতার উৎপত্তি ও আকার
  • চালতা হওয়ার সটীক সময়
  • গভাবস্তায় চালতা ফল খাওয়ার নিয়ম
  • গভাবস্তায় চালতা ফল খাওয়ার উপকারিতা
  • চালতার পুস্টি উপাদান
  • চালতার পুস্টিগুন ও উপকারিত
  • চালতার আচার তৈরী
  • চালতা হাইড্রেশন বা জলীয় ঘাটতি কমায়
  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরী করা 


ভূমিকা
আমরা অতি পরিচিত এবং লোভনীয় ফল সম্পর্কে জানব।জানব আরো চালতাকে ইংরেজিতে Elephant
Apple বলা হয়।এই ফল টক তাই সকলেই আচার খেতে ভালোবাশে। চালতা ফলের গাছ বন-জঙ্গলে হয়
কিন্ত এখন চাস করে এবংবাডিতে ও তৈরি করা হচেছ।


আমরা চালতা ফল হিসাবে যে ফলটা খাই,সে ফলের চোচাসহ খাওয়া যায়।এই ফল সচরাচর সব জায়গাতেই পাওয়া যায়।


চালতার জণ্ম ও আকার

চালতার জণ্ম মূলত দক্ষ্ণিণ পূবো এশিয়ায়। অনেক দেশেই এই ফল এখন পাওয়া যায় ফভ যেমন ঃ
বাংলাদেশ
মালয়েশিয়া
ভারত
চীন
শ্রীলংকা
ও ভিয়েতনাম
চালতা গাছ হয় মাঝারি আকারের।আর চালতা গাছের উচ্চতা হয় ১৫ থেকে ১৬ মিটার এবং
রং হয় লালচে বনের।এর ফুল হয় গন্ধযুক্ত এবং ফুলের ব্যাস ১৫ থেকে ১৭ সেঃমিঃ পযন্ত ।
চালতা হওয়ার সঠিক সময়
চালতা ফল বষার পর পাকে।এই চালতা শীতকাল পযন্ত পাওয়া যায়।আর পাকা ফলের বীজ
থেকে চারা তৈরি করা যায়।এ ফল সংরক্ষোণ করে অনেকদিন রাখা যায়। পাকা ফল যদি না
পাড়া হয় তাহলে সে ফল থেকে বীজ মাটিতে পড়ে,এবং তা থেকে চারা গজায়। একারনে
গাছের তলায় ছোট ছোট চারা দেখা যায়।


গভাবস্তায় চালতা ফল খাওয়ার নিয়ম

গভাবস্তায় কিছু নিয়ম মেনে চালতা খেতে হবে।চালতার আচার খাওয়া ঠিক নয় । কারন,আচার
আনেক উপাদান দিয়ে তৈরী করা হয় যা গভবতীর জন্য খুব ক্ষতিকর ।একজন গভবতী মহিলার
কাচা চালতা খাওয়া উত্তম ।আপনি তার সাথে কিছু মশলা মিশিয়ে খেতে পারেন। তাই বলে আবার
মরিচের গুড়া বা কাচা নবণ বেশি অথবা বাজারের কিনা মশলা খাওয়া যাবেনা।আপণার যদি খেতে
ইচ্ছে হয় তাহলে হিমালিয়ান লবণ পরিমানে কম করে খেতে পারেন।তাছাড়া মরিচ হিসেবে কাচা
লংকা ব্যাবহার করা যেতে পারে।


গভাবস্তায় চালতা ফল খাওয়ার উপকারিতা

গভাবস্তায় চালতা ফল খাওয়া অনেক উপকারি এবং এ চালতা ফল সকলের খাওয়া উচিত।কারন
চালতা ফলে আছে অনেক পুস্টিগুন । যা খাওয়ার ফলে বাচ্চা ও মা দুজনাই ভালো থাকবে ।তবে
এ ফল নিদিষ্ট পরিমানে খেতে হবে কারন কোন কিছু পরিমানে বেশি খাওয়া উচিত নয়।


আমরা সবাই জানি যে গভাবস্তায় হজমের অনেক সমস্যা হয়। এর ফলে বাচ্চা ও মা দুজনেই
দুর্বল হয়ে পড়ে।গভাবস্তায় এ ফল খেলে হজমের সমস্যার পক্ষে ভালো।চালতা টক হওয়ারকারনে ভালো কাজ করে এই সমস্যায়।

গভাবস্তায় বড় সমস্যা দেখা দেয় তা হলো কষ্ট-কাঠিণ্যতার।গভাবস্তায় এই সমস্যা অনেকবড় ।আর এই চালতা ফল খাওয়ার ফলে কস্ট-কাঠিণ্যতা দূর হয়। চালতা ফল খেলে পোটিকে
নরম করে।আর এ কারনে কোন ঔষুধ খেতে হয় না।
গবেষনায় জানা গেছে চালতায় অ্যাণ্টি-ইনফ্লেমেটোরি আছে যা শরীরের ব্যথা ওফোলাকমায়।এই ব্যথা চালতা ফল খাওয়ার কারনে কিছুটা কমে যায়।
গভাবস্তায় মায়ের শরীর ফ্যাকাশে ও উস্ক শুস্ক হয়ে যায় এবংশরিরের চামড়া উঠে যায়। এ
সমস্যাভিটামিন সি এর অভাবে হয়ে থাকে।তাই এ অবস্তায় নিয়ম মেনে চালতা খাওয়া উচিত। কারন চালতায় অনেক ভিটামিন সি আছে।
আমরা সকলে জানি যে গভাবস্তায় রোগ প্রতিরধ ক্ষমতা কমে যায় তাই এ সময় চালতা ফল
খাওয়া উচিত।কারন এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।এছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা
রোয়েছে চালতায়। এর কোনো অপকারিতা নেই বললেই চলে।


চালতার পুষ্টি উপাদান



চালতায় প্রচুর পরিমানে পুস্টিকর উপাদান রয়েছে ।যেমন,
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
ভিটামিন সি
ভিটামিন এ
খনিজ লবণ
আমিষ ও
বিটা ক্যারটিন

চালতার পুস্টিগুন ও উপকারিতা



চালতা ফল টক বলে জর,বুকে কফ জমা,বুকে ব্যাথা,এবং ঠান্ডা লাগা সদি এসব রোগথেকে অনেক রক্ষা পাওয়া যায়।তাই আমরা সকলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চালতার
রস পান করতে পারি।
চালতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি,যার কারনে লিভারের সমস্যা এবংস্কাভি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চালতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ,যার ফলে রাতকানা রোগ থেকে মুক্তিপাওয়া যায়। আমরা সকলেই জানি যে ভিটামিন এ এর অভানে রাতকানা রোগ হয় ।
চালতায় প্রচুর পরিমানে পুস্টিগুন থাকায় হাটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চালতা ফল নখ ওহাড় গঠনে অনেক উপকারি।
চালতা ফল কোলেস্টোরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
চালতা ফল টক হওয়ার কারনে কিডনীর বিভিণ্ণ রোগের জন্য ভালো কাজ করে।
চালতা ফল ডায়রিয়া ও বদহজম রোগে অনেক উপকারি।
চালতা গভবতী মহিলাদের জন্য অনেক উপকারি।
মুখে ঘা এবং চামড়া উঠে গেলে এ ফল ভালো কাজ করে।
এ ছাড়া চালতা গাছের পাতাও অনেক উপকারি

চালতার আচার তৈরি

আমরা সকলেই জানি যে চালতার আচার খুব সুসাদু । চালতার আচার একটু টক,ঝাল,ও মিষ্টি তাই এ
আচার খেতে অনেক মজা লাগে ।কিন্ত গর্ভ অবস্থায় চালতার আচার পরিমানে বেশি খাওয়া উচিত হবে
না ।কারন আচার তৈরিতে বাজারের বিভিণ্ণ মশল্যা ব্যাবহার করা হয়।আর এ কারনে গর্ভ অবস্তায় এটা
পরিমানে বেশি খেলে মা ও বাচ্চা উভয়েরই ক্ষতি হবে। আর গর্ভ অবস্তায় মাকে অনেক সচেতনতার
সহিত থাকতে হয়।তাতে মা ও বাচ্চা উভয়েরই ভাল থাকে ।


চালতা হাইড্রেশন বা জলীয় ঘাটতি কমায়

গভাবস্তায় প্রতিটি মায়ের জন্য হাইড্রেশন বা শরীরকে পযাপ্ত জলীয় রাখা প্রয়োজন ।কারন একটি
সুস্থ সবল বাচ্চা জন্মদানে হাইড্রেশনের বিকল্প নেই।চালতা ফলে উচ্চ মাত্রায় জলীয় উপাদান রয়েছে।
তাই হাইড্রেশনের জন্য চালতা খুবই ভূমিকা পালন করে।গভাবস্থায় মা ও শিশু উভয়ের জন্য হাইড্রেশন
ও জলীয় ঘাটতি পূরণে চালতা অপরিহায ।এটি মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারী ।




অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরী করা

অ্যাণ্টি-অক্সিডেণ্ট দেহের বিভিন্ন জীবন্ত যৌগ বা জীবানুর অবক্ষয় ঘটায়।গভাবস্থায় এই প্রকৃয়াটি প্রতিটি
গভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন।চালতায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।চালতায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুলি দেহের ফ্রি র‍্যাডিক্যাল গুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যার ফলে
শরীরকে অ্যান্টিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে এবং সামগ্রিকভাবে সাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখে,মা ও বাচ্চা
উভয়ের শরিরটাকে


শেষ কিছু কথাঃ

গভাবস্থায় চালতা ফল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সহ আরো অজানা অনেক গুনের কথা সঠিক তথ্যের মাধ্যমে তুলে ধরার চেস্টা করেছি।এ আটিকেলটি শুরু থেকে শেষ পযন্ত মনো্যোগ সহকারে
পড়লে আপনি চালতা সম্পকে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।আশা করি এ আটিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।












এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url