ঘরে বসে অনলাইনে ইনকামের সহজ ১০টি উপায়

ঘরে বসে আয় করা বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে আর কল্পনার বিষয় নয়।ইন্টারনেট আমাদের হাতে এনে দিয়েছে অগনিত সুযোগ।সঠিক পরিশ্রম ওপদ্ধতির মাধ্যমে ঘরে বসেই একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়।এই আর্টিকেলে অনলাইনে ইনকামের সহজ ১০টি ইপায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
  • ব্লগিং করে ইনকাম
  • ড্রপশিপিং ব্যবসা করে ইনকাম
  • ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম
  • ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম
  • গ্রাফিক ডিজাইন এবংভিডিও এডিটিং করে ইনকাম
  • কন্টেণ্ট রাইটিং বা কপিরাইটিং করে ইনকাম
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
  • ফটো বা ডিজিটাল প্রিণ্ট বিক্রি করে ইনকাম
  • শেষ কথা

 ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা যায়।যদি আপনার বিশেষ কোনো দক্ষতা থাকে যেমন,প্রোগ্রামিং,লেখা ও গ্রাফিক ডিজাইন থাকলে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম যেমন-Fiver,Upwork বাFreelancer-এ কাজ শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং হলো অনলাইনে তাড়াতাড়ি ইনকাম করার সহজ উপায়।
আপনার যে বিষয়ে ধারনা আছে সে বিষয়ে কাজ শুরু করতে হবে।তারপর আপনার অভিজ্ঞতার সাথে সাথে আপনার আয় ও বাড়তে থাকবে।আপঅনার কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যদি না থাকে তাহলে মোবাইল দিয়েই শুরু করতে পারবেন।   ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে হাজারো রকমের কাজ করা যায়।কিছু জনপ্রিয় ক্যাটাগরি তুলে ধরা হলো-
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • ডেটা এন্ট্রি 
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যাণ্ট
  • ভিডিও এডিটিং
  • এসইও অপটিমাইজেশন
কোথায় কাজ পাওয়া যায়,এ ব্যাপারে নিচে কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম দেওয়া হলো-
  • Fiverr-ছোট কাজ বা গিগের মাধ্যমে কাজ শুরু করা সহজ ।
  • Upwork-বড় ও পেশাদার প্রজেক্টের জন্য ।
  • PeoplePerhour,Guru,Toptal-পেশাদারদের জন্য ।
  • Freelancer.com-নানা রকম কাজের জন্য উপযোগী একটি প্লাটফর্ম ।

ব্লগিং করে ইনকাম

ব্লগিং করেও বর্তমান যুগে ইনকাম করা যায়।প্রথমে নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে একটি ব্লগ শুরু করতে পারেন। SEOএবংকন্টেণ্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্লগে বাড়িয়ে Adsenseবা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।ব্লগ মুলত একটি ওয়েবসাইট,যেখানে আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেন যেমন-ট্রাভেল,রান্না,প্রযুক্তি,শিক্ষা,ক্যারিয়ার বা যেকনো নলেজ ভিক্তিক বিষয়।
আরো পড়ুনঃফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম দিয়ে ঘরে বসে কাজ

ড্রপশিপিং ব্যবসা করে ইনকাম

ড্রপশিপিং ব্যবসা করেও এখন ইনকাম করা যায়।ড্রপশিপিং এমন একটি পদ্ধটি যেখানে আপনার কাছে কনো পণ্য না থাকলেও আপনি ইনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।Shopify বাWoocommerceব্যবহার করে ড্রপশিপিং ব্যবসা সহজেই শুরু করা যায়।আর ড্রপশিপিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে আপনি নিজের কনো পণ্য হাতে না রেখে বরং ক্রেতার অর্ডার সরাসরি সরবরাহকারি থেকে পাঠিয়ে দেন।
ড্রপশিপিং এর প্রধান সুবিধা হলো-স্টক ঝামেলা নেই এবংবিনিয়োগ খুব কম।আপনি একটি অনলাইন শপ তৈরি করবেন যেখানে পন্যগুলো থাকবে কিন্ত এগুলো আপনার হাতে থাকবেনা।যদি কেউ অর্ডার দেয় তখন  সেই অর্ডার সরবরাহকারি পাঠিয়ে দেন সরাসরি গ্রহকের কাছে।আপনি শুধু মার্কেটিং এবং বিক্রির দায়িত পালন করবেন।
ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার কিছু পদ্ধতি আছে যেমন-
  • প্লাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে
  • মার্কেট নির্ধারন করতে হবে
  • সরবরাহকারি খুজতে হবে
  • মার্কেটিং করতে হবে
  • কাস্টমার সার্ভিস ঠিক রাখতে হবে
ড্রপশিপিং এর কিছু সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে ।সুবিধাগুলো,যেমন-
  • কম বিনিয়োগে শুরু করা যায়
  • বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করা যায়
  • কোনো স্টক ম্যানেজমেণ্ট করতে হয় না
চ্যালেঞ্জ সমুহ ,যেমন-
  • সরবরাহকারীর উপর নির্ভরশীলতা
  • প্রতিযোগিতা বেশি
  • কাস্টমার সার্ভিস ও রির্টান প্রসেসিং কঠিন হতে পারে

ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম

ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও কণ্টেণ্টের মাধ্যমে আয় করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।গেমিং,ভ্রমণ,রান্না বা শিক্ষামূলক বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন এবং মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম শুরু করুন।বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়ায় ইউটিউব শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়,বরং এটি অনেকের জন্য একটি সফল ক্যারিয়ার এবং উপার্জনের পথ।
আপনি যদি ভিডিও বানাতে ইচ্ছুক হন কনো বিষয় বস্তু নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে ইউটিউব হতে পারে আপনার জন্য একটি ইনকামের স্থায়ী মাধ্যম ।মানুষ যখন আপনার ভিডিও দেখে তখন Goolgle Adsense এর মাধ্যমে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় এবং সেই ভিডিও থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার ধাপসমুহ,যেমন-
  • একটি Googleঅ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
  • You Tube.com-এ যান এবং"Create Channel"এ ক্লিক করুন
  • চ্যানেলের নাম ও কভার  ফটো সেট করুন
  • ভিডিও এডিটিং এর জন্য ব্যবহার করুন"Capcut,VN,KinemasterঅথবাAdobe Premiere Pro"
  • ভিডিও বানাতে একটি স্মার্টফোন বা ক্যামেরা ব্যবহার করুন
  • ভিডিও আপলোডের সময় ভালো Title,Description,Tagsদিন -SEO অনুযায়ী।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম

ডিজিটাল মার্কেটিং করেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।আপনার কনো বিশেষ দক্ষতা থাকলে তা শিখিয়ে Udemy,Teachable বা Skillshareএর মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।প্রতিটি ব্যবসা,ছোট বড়,সবাই ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের পণ্য বা সেবা পৌছানোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল।এজন্য আপনি আপনার দক্ষতা অর্জন করে ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইনকাম করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে ব্যবসার প্রচার ও বিক্রি বাড়ানো যায়।এর মধ্যে থাকে যেমন-
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং 
  • কণ্টেণ্ট মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ভিডিও মার্কেটিং

গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম

গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং করেও ইনকাম করা সম্ভব।কোম্পানিগুলোর জন্য লোগো ডিজাইন,ভিডিও এডিটিং ও ব্যানার তৈরির মাধ্যমে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারেন।Adobe photoshop বাPremiere Pro-এর মতো সফটওয়ার ব্যবহার করে দক্ষতা বাড়ান।গ্রাফিক ডিজাইন একটি আর্ট ও ভিজুয়াল কণ্টেণ্ট তৈরি করার একটি পেশা।
কোম্পানি,ব্যবসা,ব্লগ,ইউটিউব চ্যানেলসহ সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন বাড়ছে।যদি আপনি ডিজাইন করতে পছন্দ করেন,তাহলে ঘরে বসেই  ফ্রিল্যান্সার হিসাবেই নিজের ক্লায়েণ্টের সাথে কাজ করে ভালো ইনকাম করতে পারেন।গ্রাফিক ডিজাইনের ধরন যেমন হয়া দরকার,
  • লোগো ডিজাইন-ব্র্যান্ডের পরিচয় বহন করে এমন লোগো তৈরি করা
  • ব্যানার ও পোস্টার ডিজাইন-বিজ্ঞাপন,প্রচারনার জন্য
  • সোশাল মিডিয়া পোস্ট-ফেসবুক,লিংকডইন,ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির জন্য পোস্ট তৈরি করা
  • বইয়ের কভার ও পুস্তিকা ডিজাইন-পাবলিশিং সেক্টরে কাজের জন্য পোস্ট তৈরি করা

কন্টেণ্ট রাইটিং বা কপিরাইটিং করে ইনকাম

বর্তমান যুগে কণ্টেণ্ট রাইটং বা কপিরাইটিং করেও ইনকাম করা যায়।আপনি যদি লেখালেখিতে পারদর্শি হন তাহলে কণ্টেণ্ট রাইটিং বা কপিরাইটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন।ব্লগ,আর্টিকেল,বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট লিখে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি অন্য কারো পণ্য বা সার্ভিসের লিল্ক শেয়ার করেন,এবং কেউ যদি সেই লিঙ্ক থেকে কেনাকাটা করে তাহলে সেখান থেকে আপনি শিয়ার পাবেন।এটি সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় ইনকামের উপায়।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ার কারন হলো-
  • বিনিয়োগ ছাড়াই শুরু করা যায়
  • কাজ করা যায় যেকনো জায়গা থেকে
  • পণ্য তৈরির ঝামেলা নেই
  • প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ রয়েছে

ফটো বা ডিজিটাল প্রিন্ট বিক্রি করে ইনকাম

ফটো বা ডিজিটাল প্রিন্ট বিক্রি করেও আয় ইনকাম করা যায়।Shutterstock এর মতো প্লাটফর্মে আপনার কাজ আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।ফটো বা ডিজিটাল প্রিন্ট বিক্রি করে সফলতার দারপ্রান্তে পৌছা যায়।আর এ সফলতার জন্য কিছু টিপস আছে।যেমন-
  • ধৈয্য ধরুন এবং প্রতিদিন নিজেকে আপডেট রাখুন।
  • সঠিক প্লাটফর্ম এবংদক্ষতা অনুযায়ী কাজ শুরু করুন।
  • নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ান।

শেষ কথাঃ

ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা সহজ।কিন্ত ঘরে বসে ইনকাম করা সহজ হলেও এর জন্যদ ধৈর্য,পরিশ্রম এবং সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন।এই ১০টি উপায় য কেউ অনুসরন করতে পারে এবং সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে পারে।আপনার আগ্রহ অনুযায়ী যে কনো একটি পদ্ধতি বেছে নিন এবং আজই শুরু করুন



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url