গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার ৭টি উপকারিতা এবং ৫টি অপকারিতা

 গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য ।এই আর্টিকেলে মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা সর্ম্পকে এবংমাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়মসহ আরো বিস্তারিত আলোচনা করব ।


গর্ভকালীন সময় গর্ভবতী মায়ের শরীরে সকল প্রকার পুস্টির চাহিদা পুরন করতে এবংমায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের পুস্টির চাহিদা পুরন করতে মাদার হরলিক্স অনেক উপকারি।এসময় গর্ভবতী মাকে মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা ।চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী মাকে মাদার হরলিক্স খাওয়া উচিত ।

পোস্ট সূচিপত্রঃমাদার হরলিক্স কি

  • গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার ৭টি উপকারিতা
  • গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার ৫টি অপকারিতা
  • গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম
  • গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কখন খেতে হয়
  • গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়
  • গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়
  • মাদার হরলিক্স সবচেয়ে ভালো কোনটা
  • মাদার হরলিক্স এর মূল্য তালিকা
  • বাচ্চা প্রসবের পর মাদার হরলিক্স খাওয়া যাবে কি 
  • মাদার হরলিক্স কি নিরাপদ
  • মাদার হরলিক্সে কি চিনি থাকে
  • মাদার হরলিক্স খেলে কি বুকের দুধ বাড়ে
  • মাদার হরলিক্স খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে
  • শেষ কথা

মাদার হরলিক্স কি

মাদার হরলিক্স কি এবিষয় সর্ম্পকে অনেক গর্ভবতী মায়েদেরই জানা থাকেনা।আসলে মাদার হরলিক্স এমন একটি পুস্টিকর খাবার যা গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক পুস্টি উপাদান দিয়ে তৈরী করা হয়।কারন গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অন্যান্য মায়েদের তুলনায় অনেক বেশি পুস্টির প্রয়োজন হয়।কারন একজন গর্ভবতী মায়ের পেটের ভিতরে যে শিশুটা বেড়ে উঠে তা কিন্ত মায়ের কাছ থেকেই খাদ্য গ্রহন করে বেচে থাকে।আর এ কারনেই একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে প্রচুর পরিমানে পুস্টির প্রয়োজন হয়।
আর এ পুস্টির চাহিদা পুরন করতে এবং যে সকল মায়েদের শরীরে পুস্টি উপাদান কম থাকে সে সকল মায়েদের জন্য মাদার হরলিক্স এর গুরুত্ব অপরিসীম।কারন এ মাদার হরলিক্স সে সকল গর্ভবতী মায়েদের জন্য পুস্টিকর খাবার হিসাবে তৈরী করা হয়েছে।গর্ভাবস্থায় নিয়মিত মাদার হরলিক্স খেলে মায়ের পুস্টির চাহিদা পুরন হয় যার ফলে গর্ভে থাকা বাচ্চার শারীরীক বিকাশ ঘটে।

আর এ কারনেই বাচ্চাটি পরিপূর্নভাবে বেড়ে উঠতে পারে।তাই গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে।মাদার হরলিক্সে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন,প্রোটিন,খনিজ ও বি এইচ এর মত পুস্টি উপাদান যা গর্ভবতী মায়ের শরীরের সকল পুস্টির অভাব পুরন করে এবং সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।এটি গর্ভে থাকা শিশুটির জন্য অনেক উপকারি বলে মনে করেন চিকিৎসরা।তাই তারা গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার ৭টি উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা অনেক।তাই চিকিৎসকরা মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ  দিয়ে থাকেন।কারন একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে  প্রচুর পরিমানে পুস্টির প্রয়োজন হয়।আর একজন গর্ভবতী মা গর্ভকালীন সময়ে যতবেশি পুস্টিকর খাবার খাবে গর্ভে থাকা শিশুটি তত বেশি পুস্টি পাবে।আর এ কারনেই গর্ভবতী মাকে এসময়ে প্রচুর পরিমানে পুস্টিকর খাবার খেতে হবে। এ জন্যই   খাবারের পাশাপাশি মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসরা।

মূলত মাদার হরলিক্স গর্ভবতী মায়েদের জন্যই বিভিন্ন ধরনের পুস্টি উপাদান দিয়ে তৈরী করা হয়েছে।মাদার হরলিক্স একজন গর্ভবতী মা এবং গর্ভে থাকা শিশুর মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।গর্ভবতী মায়ের নানা রকম শারীরিক জটিলতা দূর এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মাদার হরলিক্স অনাক উপকারি।মাদার হরলিক্স এর বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হল ।

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার ৭টি উপকারিতা
  • গর্ভাবস্থায় শারীরিক দূর্বলতা দূর করে
  • গর্ভাবস্থায় পুস্টি উপাদান বাড়ায়
  • গর্ভবতীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • গর্ভাবস্থায় পুস্টির চাহিদা পূরন করে
  • শিশুর হার্ট মজবুত করে 
  • শিশুর ওজন বাড়াতে সহায়তা করে
  • শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটায়
গর্ভাবস্থায় শারীরিক দূর্বলতা দূর করেঃগর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী মেয়েদের শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে।এর প্রধান কারন হচ্ছে খাবারে অরুচি,ঠিক মতো কোন খাবার খেতে না পারা,বমি বমি ভাব,ঘুম কম ইত্যাদি কারনে গর্ভবতী মেদের শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে।একারনে গর্ভকালীন সময়ে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে হরলিক্স মিশিয়ে খেলে গর্ভকালীন দূর্বলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবংসেই সাথে খাবারের রুচি ফিরে আসে।
গর্ভাবস্থায় পুস্টি উপাদান বাড়ায়ঃ গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরের পুস্টির চাহিদা পুরনের পাশাপাশি গর্ভে থাকা সন্তানের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে মাদার হরলিক্স।তাই গর্ভকালীন সময়ে পুস্টি উপাদান বাড়ানোর জন্য মাদার হরলিক্স এর বিকল্প নেই।

গর্ভবতীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃএকজন গর্ভবতীকে গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হয়।কারন এসময় গর্ভবতী মেয়েরা যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলে তার প্রভাব পড়ে গর্ভে থাকা বাচ্চার উপর।তাই এসময় একজন গর্ভবতী মা যদি মাদার হরলিক্স খান তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।কারন এ মাদার হরলিক্স প্রচুর পুস্টি উপাদান দিয়ে তৈরী করা হয়েছে।এছাড়াও মাদার হরলিক্সে থাকা ভিটামিন সি গর্ভবতী মায়ের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় পুস্টির চাহিদা পূরন করেঃগর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতীর শরীরে প্রচুর পরিমানে পুস্টির প্রয়োজন হয়।কারন একটি শিশু গর্ভবতী মায়ের ভিতর থেকেই নিজের খাদ্য এবং পুস্টেইর চাহিদা পুরন করে থাকে।তাই গর্ভবতী মায়ের পুস্টির চাহিদা পুরন না হলে গর্ভে থাকা শিশুটিও অপুস্টিতে ভোগে।গর্ভকালীন সময়ে অধিকাংশ মায়েদেরই খাবারে অরূচি চলে আসে ।যার ফলে ডাক্তাররা এসময় এক গ্লাস গরম দুধের সাথে মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।যার ফলে গর্ভবতীর পুস্টির চাহিদা পুরন হয়।
শিশুর হার্ট মজবুত করেঃশিশুর হার্ট মজবুত করতে মাদার হরলিক্সের বিকল্প নেই।কারন মাদার হরলিক্সে থাকে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এবংক্যালসিয়াম যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য উপযোগী ।শুধু তাই নয় মাদার হরলিক্স গর্ভে থাকা শিশুর হাড়কেও মজবুত করতে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে।আর এ কারনেই গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়া জরুরী।

শিশুর ওজন বাড়াতে সহায়তা করেঃশিশুর ওজন বাড়াতে মাদার হরলিক্স প্রচুর উপকারী।যদি কোনো গর্ভবতী মা নিয়মিত মাদার হরলিক্স খায় তাহলে গর্ভে থাকা শিশু এবং গর্ভবতী মা উভয়েরই পুস্টির চাহিদা পুরন করে।শধু তাই নয় এর পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধি করতে  ও সহায়তা করে

শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটায়ঃশিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটাতে মাদার হরলিক্স এ থাকা পুস্টি উপাদান প্রচুর পরিমানে ভুমিকা পালন করে।তাই গর্ভে থাকা শিশুটির শারীরিক এবংমানসিক বিকাশ ঘটানোর জন্য গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মাকে মাদার হরলিক্স খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার ৫টি অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে তার পর খাওয়া উচিত।কারন আমরা সকলেই জানি যে যে কোনো জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতাও থাকে।আর একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য মাদার হরলিক্স খাওয়া উপকারী। কিন্ত তাই বলে পরিমানে বেশি এবং অনিয়মিত খেলে হতে পারে কিছু অপকারিতা।
মাদার হলিক্স পরিমানে অতিরিক্ত খেলে গর্ভে থাকা শিশু এবংগর্ভবতী উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে।গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার কয়েকটি অপকারীতা সর্ম্পকে এই আর্টিকেলে জানবো।চলুন জেনে নিই।
গর্ভাবস্থায় মাদার  হরলিক্স খাওয়ার ৫টি অপকারিতা
  • এলার্জিজনিত সমস্যা
  • পেট ব্যথা
  • বমি বমি ভাব
  • বুক জলাপোড়া ভাব
  • গ্যাসের সমস্যা
এলার্জিজনিত সমস্যাঃমাদার হরলিক্স একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক উপকারি।কিন্ত যদি কারো এলার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাহলে এই মাদার হরলিক্স পরিমানে বেশি  খাওয়া উচিত নয়।কারন এই মাদার হরলিক্স বিভিন্ন ধরনের উপকরন দিয়ে তৈরী করা হয়ে থাকে।আর   যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এলার্জির সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পেট ব্যথাঃমাদার হরলিক্স অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের পেট ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।কারন মাদার হরলিক্স বিভিন্ন ধরনের পুস্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরী।এ কারনে বেশিমাত্রায় খেলে পেট ব্যথা হতে পারে।
বমি বমি ভাবঃগর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় মাদার হরলিক্স খেলে অনেক সময় বমি বমি ভাব হতে পারে।এবংবমি হয়ার প্রবনতা দেখা দেয়।এ কারনে গর্ভাবস্থায় এটি অতিরিক্ত মাত্রায় না খেয়ে পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে।
বুক জলাপোড়া ভাবঃমাদার হরলিক্স যেহেতু বিভিন্ন ধরনের পুস্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরী তাই কো্নো কোনো ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের মাদার হরলিক্স খাওয়ার পর বুক জালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।অথবা চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী খেতে হবে।
গ্যাসের সমস্যাঃমাদার হরলিক্স অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের জন্য গ্যাসের কারন হতে পারে।কারন মাদার হরলিক্স অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।তাই এটি খাওয়ার সময় নিয়ম মেনে এবং পরিমানে কম খেতে হবে

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।তাহলে  কোনো ক্ষতি হবেনা।গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের গর্ভাবস্থায় খাওয়ার নিয়ম সর্ম্পকে জানবো।চলুন  জেনে নিই গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম সর্ম্পকে।একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য রাতে ঘুমের আগে  অথবা সকালে এক গ্লাস গরম দুধ এবংকুসম গরম পানির সাথে তিন থেকে চার চামচ মাদার হরলিক্স মিশিয়ে খাওয়া বেশ উপকার ।এর থেকে পরিমানে বেশি খাবেন না।তাহলে উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি হবে।সঠিক নিয়ম মেনে মাদার হরলিক্স খেলে সঠিক পুস্টি পাওয়া যাবে।

গর্ভাবস্থায়  মাদার হরলিক্স কখন খেতে হয়

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কখন খেতে হয় এ বিষয়ে একজন গর্ভবতী মায়ের জানা দরকার।গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানলেও মাদার হরলিক্স কখন খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে জানেনা।নিয়ম মেনে খেলেই তবে মাদার হরলিক্সের পুস্টি উপাদান একজন গর্ভবতী মা এবং গর্ভে থাকা শিশু উভয়ের জন্যই উপকারি।এতে করে দুজনেরই পুস্টির চাহিদা পুরন হবে।

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স একজন গর্ভবতী মা এবং গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক এবংমানসিক  ভাবে সুস্থ থাকার জন্য দরকার এ পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসরা।কারন এতে গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও খাবারের অরুচি দূর হয় এবংপুস্টির চাহিদা পুরন হয়।তাই নিয়ম মেনে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসরা।আর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেলে কোনো ক্ষতি হবেনা।

তবে মনে রাখবেন এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবেনা।অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকারের পরিমান বেশি হবে।কারন অতিরিক্ত মাত্রায় মাদার হরলিক্স খেলে যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের এলার্জির সমস্যা বেড়ে যায়,বুক জালা পোড়া করে,গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় এবংবমি বমি ভাব হতে পারে।তাই মাদার হরলিক্স খাওয়ার সময় এই সকল বিষয়গুলো মেনে খাবেন।

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয় তা গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করব।মূলত মাদার হরলিক্স বিভিন্ন ধরনের পুস্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরী এক ধরনের মিল্ক পাউডার যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য তৈরী করা হয়েছে।এতে গর্ভবতী মায়াদের শরীরের  সকল পুস্টির চাহিদা পুরনের সব ধরনের উপকরন মেশানো থাকে।তাই এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক উপকারি খাদ্য।
একজন গর্ভবতী মা গর্ভকালীন সময়ে অরুচি জনিত সমস্যায় ভোগে।যার ফলে তারা কিছু খেতে পারেনা এবংখাওয়ার পরে বমির সমস্যা দেখা দেয়।তাই গর্ভকালীন সময় গর্ভবতী মায়ের পুস্টির চাহিদা পুরনের জন্য এবং অরুচি ভাব কমানোর জন্য প্রতিদিন হালকা কুসুম গরম দুধের সাথে মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসরা।আর এ খাবারে থাকা পুস্টি উপাদান গর্ভে থাকা শিশু এবংগর্ভবতী মায়ের শারীরিক এবং মানসিক বিকাস ঘটাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রয়োজন হয়।আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মাদার হরলিক্স এর ভূমিকা অনেক।গর্ভকালীন সময়ে মাদার হরলিক্স খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের সংক্রামনের হাত থেকে রক্ষা পায়।এটি গর্ভবতী মা এবং গর্ভে থাকা শিশু উভয়ের জন্য অনেক উপকারি এবং আদর্শ একটি খাবার।

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয় এই সম্পর্কে অনেক গর্ভবতী মায়েরা প্রশ্ন করে থাকেন চিকিৎসককে।গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক উপকারি এ কথা অনেকেই জানলেও মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খাওয়া শুরু করতে হবে একথা অনেকেই জানেনা।গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স  খাওয়ার উপকারিতা আর্টিকেলের এই অংশ থেকে চলুন জেনে নিই যে গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয় ।
একজন গর্ভবতী মা কখন থেকে মাদার হরলিক্স খাওয়া শুরু করবে এ বিষয়ে নির্ভর করবে তার শারীরিক অবস্থার উপর।কারন গর্ভবতী মায়ের অবস্থা খারাপ থাকে,তারা যদি অপুস্টিতে ভোগে এবংখাবারে অরুচি দেখা দেয়। তাহলে চিকিৎসকরা গর্ভকালীন সময়ের শুরু থেকেই মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।কিন্ত গর্ভবতী মায়ের শারীরিক অবস্থা যদি ভালো থাকে এবং খাবারে রুচি থাকে তাহলে সাধারনত গর্ভ ধারনের তিন মাস পর থেকে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
তবে একটি কথা অবস্যই  খিয়াল  রাখতে হবে যে শারীরিক অবস্থা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় খারাপ হয় তাহলে মাদার হরলিক্স পরিমানে বেশি খাওয়া যাবেনা।অনেকেই হয়ত মনে করেন যে মাদার হরলিক্স পরিমানে বেশি খেলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে তাই অনেকেই নিয়ম মাফিক না খেয়ে নিজের ইচ্ছা মত খেয়ে মাদার হরলিক্স খেয়ে থাকেন।এতে উপকারের বদলে ক্ষতির পরিমান বেশি হয়।অতিরিক্ত অপুস্টি জনিত সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের তালিকা বানিয়ে নিবেন।কিন্ত অতিরিক্ত মাত্রায় মাদার হরলিক্স খাবেন না

মাদার হরলিক্স সবচেয়ে ভালো কোনটা

মাদার হরলিক্স সবচেয়ে ভালো কোনট এবিষয়ে চিকিৎসরা কি বলছে চলুন জেনে নিই।একজন গর্ভবতী মা অনেক সংশয়ের মধ্যে থাকে যে গর্ভবস্থায় তারা কোন মাদার হরলিক্সটা খাবেন।কারন আমাদের দেশে বিভিন্ন কোম্পানির মাদার হরলিক্স বিক্রি হয়।এ ক্ষেত্রে মাদার হরলিক্স কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে মাদার হরলিক্সটি অরিজিনাল কিনা।
মাদার হরলিক্স কেনার সময় অবস্যই দেখতে হবে যে মাদার হরলিক্সটির কোম্পানির প্যাকিং,জাত,লোগো এবংমেয়াদ ঠিক আছে কিনাএবং এটা নকল না অরিজিনাল ।কারন আমাদের দেশে ভেজাল কোম্পানিতে ভরপুর।অরিজিনাল কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো দেখে বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়িরা নতুন নতুন হরলিক্স কোমম্পানি তৈরি করছেন।যেগুলো অরিজিনাল হরলিক্স এর চেয়ে গুন এবংমানের দিক থেকে তুলনামুলক ভাবে অনেক কম।
এগুলতে শাদ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি কারক উপাদান মিশিয়ে থাকে।এ সকল হরলিক্স খেয়ে গর্ভবতী মা এবংগর্ভে থাকা শিশু উভয়েই ক্ষতির সম্মুক্ষিন হন।গর্ভকালীন সময়ে কোনো গর্ভবতী মায়ের ভেজাল খাবার খাওয়া নিরাপদ নয়।এতে গর্ভে থাকা শিশুর অনেক ক্ষতি হতে পারে।তাই মাদার হরলিক্স কেনার সময় দেখে শুনে অরিজিনাল হরলিক্স কিনবেন।যদি অরিজিনাল হরলিক্স নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোম্পানি নির্বাচন করে তার পর খাবেন।তাহলে আর কোন ভয় থাকবেনা।

মাদার হরলিক্স এর মূল্য তালিকা

মাদার হরলিক্স এর মূল্য তালিকা সম্পর্কে জানব আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।মাদার হরলিক্স এর মূল্য নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে।যে মাদার হরলিক্স ক্রয় করতে কত টাকা লাগতে পারে এবিষয়ে।মাদার হরলিক্স  মূলত গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুস্টি উপাদান দিয়ে তৈরী করা হয়।যা গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকা শিশুর জন্য অনেক উপকারি।চলুন জেনে নিই বাংলাদেশের মাদার হরলিক্স ক্রয় করতে কত টাকা লাগতে পারে তার একটি ধারনা সম্পর্কে।
  • প্রতি ৩০০ গ্রাম মাদার  হরলিক্স এর দাম প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
  • প্রতি ৫০০ গ্রাম মাদার হরলিক্স এর দাম প্রায় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
তবে আমাদের দেশে কোনো পণ্যের মূল্য সব সময়ে একই নিয়মে থাকেনা।এটি জায়গা ভেদে বিভিন্ন সময় বাজার মূল্য কম বেশি হয়ে থাকে।সে জন্য বাজারে হরলিক্স কেনার সময় অবস্যই প্যাকেটের গায়ে ও মূল্য তালিকা এবংমেয়াদ উর্ত্তীণের তারিখ দেখে কিনবেন।তবে আপনি চাইলে বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেওমাদার হরলিক্স অর্ডার করে  খুব সহজেই  কিনতে পারেন।

বাচ্চা প্রসবের পর মাদার হরলিক্স খাওয়া যাবে কি

বাচ্চা প্রসবের পর মাদার হরলিক্স খাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন।কারন সবাই জানে যেমাদার হরলিক্সটি শুধুমাত্র গর্ভবতীদের জন্য।তবে এধারনা অনেকেরই ভূল।কেননা বাচ্চা প্রসবের পর গর্ভবতী মায়ের শরীরে আরো বেশি পুস্টির ঘাটতি পড়ে।তাই তাদের পুস্টকর খাবারের যোগান দেয়া বেশি জরুরী।বাচ্চা প্রসবের পরে অনেকেই আর পুস্টিকর খাবার খাওয়ার প্রতি সচেতন হন না।
তবে গর্ভকালীন সময়ে পুস্টিকর খাবার প্রয়োজন আর বাচ্চা প্রসবের পর আর প্রয়োজন নয় এটি কিন্ত সঠিক নয়।তবে বাচ্চা প্রসবের পর একজন মায়ের জন্য আরো বেশি প্রয়োজন পুস্টিকর খাবারের।সেই জন্য একটি সাস্থ্যকর খাবার হিসাবে বাচ্চা প্রসবের পর মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারেরা।
মাদার হরলিক্স প্লাসে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ ,বি১,বি২,বি৬এবংবি১২,এছাড়াও আরো রয়েছে আয়োডিন সেলেনিয়াম যা বাচ্চা প্রসব দানকারী মায়ের শরীরে মাইক্রো নিউট্রিয়েণ্টের একটি হোস্ট প্রদান করে যার ফলে বাচ্চারমায়ের দুধের গুনগত মান উন্নত করতে সহায়তা করে।তাই বাচ্চা প্রসবের পর মা ও বাচ্চা উভয়েরই পুস্টির চাহিদা পুরনের জন্য বাচ্চার মাকে অবশ্যই নিয়মিত মাদার হরলিক্স প্লাস খাওয়া উচিত।

মাদার হরলিক্স কি নিরাপদ

মাদার হরলিক্স কি নিরাপদ এটি নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন জাগে এবং দুশ্চিন্তায় ভুগে ।তাহলে জেনে নিন মাদার হরলিক্স প্লাস বৈজ্ঞানিকভাবে গর্ভবতী মায়েদের জন্য এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য বিশেষভাবে বিভিন্ন ধরনের পুস্টিকর খাবারের উপাদান দিয়ে তৈরী করা হয়েছে।তাই আপনি কোনো রকম চিন্তা ছাড়াই নিঃসন্দেহে গর্ভকালীন সময়ে মাদার হরলিক্স খেতে পারেন।প্রয়োজনে অপনি আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

মাদার হরলিক্সে কি চিনি থাকে

মাদার হরলিক্সে কি চিনি থাকে এ বিষয়ে অনেক গর্ভবতী মা জানতে চান।কারন অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিসের অসুবিধা দেখা দিতে পারে।তাই তারা হরলিক্সের চিনির বিষয় নিয়ে সংশয়ে থাকেন।তবে গর্ভবতী মায়েরা মাদার হরলিক্স প্লাস ভ্যানিলা ফ্লেভার এর ৪০০ গ্রাম রিফিল খেতে পারেন।কারন এতে কোনো চিনি নেই।এটি গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের জন্য বেশি নিরাপদ।

মাদার হরলিক্স খেলে কি বুকের দুধ বাড়ে

মাদার হরলিক্স খেলে কি বুকের দুধ বাড়ে এটি নিয়ে আলোচনা করা হলো এই আর্টিকেলে।মাদার হরলিক্সে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ,বি১,বি২,বি৬ ওবি১২ এবং আরো রয়েছে আয়োডিন,সেলেনিয়াম যা বাচ্চা প্রসব দানকারী মায়ের শরীরে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের একটি হোস্ট প্রদান করে যার ফলে এগুলো বাচ্চার মায়ের দুধের পরিমান বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
এতে জানা যায় যে মাদার হরলিক্স খেলে বাচ্চা দানকারী মায়েদের বুকের দুধের পরিমান অনেক বেড়ে যায়।যার ফলে বাচ্চা বুকের দুধ খেলে বাচ্চার পুস্টির চাহিদা পুরন হয়।এর ফলে বাচ্চা সুস্থ সবলেবং শক্তিশালি হিসাবে গড়ে ওঠে।আর বুকের দুধ পান করা বাচ্চারা অনেক মেধাবি হয়ে থাকে।কারন মায়ের বুকের দুধের বিকল্প অন্য কিছু হতে পারেনা।এতে প্রচুর পরিমান পুস্টি উপাদান থাকে যা বাচ্চার সব ধরনের পুস্টির চাহিদা পুরন করতে সহায়তা করে।

মাদার হরলিক্স খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে

মাদার হরলিক্স খেলে কি বাচ্চার ওজন বাড়ে এটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন।মাদার হরলিক্স বাচ্চার জন্য অনেক উপকারী।আর মাদার হরলিক্স প্লাসে রয়েছে প্রচুর পরিমান আয়রন,জিংক,ফলিক এসিড,আয়োডিন,ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন এ,বি৬,বি১২এবং ডি যা একজন শিশুর ওজন বাড়াতে অনেক ভুমিকা পালন করতে সহায়তা করে।তাই বলা যায় মাদার হরলিক্স প্লাস খেলে বাচ্চার ওজন বাড়বে।

শেষ কথাঃ

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে গর্ভবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতাএবং মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ন সহ মাদার হরলিক্স সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জানানোর চেস্টা করেছি।আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে মাদার হরলিক্স সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।আশাকরি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে ডিজিটাল মারিয়ম Atozএর ওয়েবসাইটটির সঙ্গে থাকুন।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url