গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা পেঁপে শরীরের জন্য ভালো ।
গর্ভ অবস্থায় কচু শাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কচু শাক খেলে এলার্জি হয় ইত্যাদি। এছাড়াও কচু শাক সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো ।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়া ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কচু শাক খেলে এলার্জি হয় কি এছাড়া ও এ সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানতে পারবেন এবং কচুর শাকের সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিত
- গভাবস্থায় কচুশাক খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কচুশাক খাওয়ার অপকারিতা
- কচুশাক খেলে কি এলার্জি হয়
- কচুশাক খেলে গলা চুলকায় কেন
- কচুশাকে কি ভিটামিন আছে
- কচুশাক খেলে কি ওজন কমে
- কচুশাক ইংরেজি কি
- কচুশাক বিশেষ ভাবে মূল্যবান যে উপাদানের জন্য
- কচুশাকের পুস্টি উপাদান
- শেষ কথা ।
গর্ভাবস্থায় কচুশাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়া ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানাবো আজ আমি এই পোস্টে । আশা করি আপনি এখান থেকে কচুশাক সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে ও বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসকের মত অনুযায়ী সঠিক তথ্য পাবেন ।
কচু শাক যেমন বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অতুলনীয় । কচুশাকের যে পাতা শুধু খাওয়া হয় তা কিন্তু নয় এর নিচে জন্ম নেয়া কচু এর ডাল অর্থাৎ পুরো গাছটি খাওয়া যায় স্বাস্থ্য বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়ার জন্য।তাই গর্ভাবস্থায় কচুশাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা, কচুশাক খেলে কি এলার্জি হয় তা নিয়ে শুধু আলোচনা করছি না বরং কচুশাক খেলে গলা চুলকায় কেন, কচুর শাকে কি ভিটামিন আছে,কচু শাক খেলে কি ওজন কমে,
কচু শাক ইংরেজি কি, কচু শাক বিশেষভাবে যে মূল্যবান উপাদানের জন্য, কচু শাকের পুষ্টি উপাদান এছাড়াও কচুশাক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি ।তাই আশা করি কচুর শাকে হাজারো উপকারিতা রোয়েছে যেমন- ক্যান্সারপ্রতিরোধক,মাতৃদুগ্ধবৃদ্ধি,রাতকানারোগ প্রতিরোধক ভিটামিন সি এর অভাব পুরন, দাঁতের মাড়ি মজবু্ত ,হাড় মজবুত,বিভিন্ন পুস্টির অভাব পুরন,রক্তশূণ্যতা দূর,ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রন,হজম শক্তি বৃদ্ধি,কোষ্ঠকাঠিণ্য দুর,ওজন কমানো ইত্যাদি।
কচু শাক অত্যন্ত সহজ লোভ্যসুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি শাক। যা মূলত বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর একটি শাক। সকল চিকিৎসক আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে কিংবা বিজ্ঞানীরা গর্ব অবস্থায় কচু শাক প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কচুশাকে রয়েছে বিভিন্ন পুস্টি উপাদান যেমন- আমিষ, শর্করা, খাদ্য আশ, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা শুধুমাত্র আমাদের দেহের উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে।
গর্ভাবস্থায় কচুশাক খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে প্রথমে জেনে নিন, গর্ভাবস্থায় কচুশাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তবে কচু শাকের হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আর আজ আমি আপনাদের মাঝে সামান্য কিছু গর্ভ অবস্থায় কচু শাকের সাস্থ্য উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরলাম। যেমন- ক্যান্সার প্রতিরোধক,মাতৃ দুগ্ধ বৃদ্ধি, রাতকানা রোগ প্রতিরো্ধক, ভিটামিন সি এর অভাব,দাঁতের মাড়ি মজবুত, হাড় মজবুত, বিভিন্ন পুষ্টির অভাব পুরন,আয়রনের ঘাটতি মেটানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন, হজম শক্তি বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন কমানো ইত্যাদি।
ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ গবেষকগণ গবেষণা করে বলেছেন যে, গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কচু শাক খেলে খুব সহজেই কোলন ক্যান্সার এবং মহিলাদের স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। কারণ কচুশাকে রোয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে ।এজন্য গর্ভ অবস্থায় এবং স্বাভাবিক সময় ও মহিলাদের কচুশাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিভিন্ন চিকিৎসকগণ।
মাতৃ দুগ্ধ বৃদ্ধিঃ গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি কচুশাকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গর্ভাবস্থায় উপকার বয়ে নিয়ে আসে। বাচ্চা জন্মের পর থেকে বাচ্চার প্রধান খাবার হয় মাতৃ দুগ্ধ ।আর মা্তৃ দুগ্ধ অনেক সময় মায়েদের বিভিন্ন কারণে বাচ্চারা পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পায় না, আর এর সমস্যা দূর করার জন্য একজন গর্ভবতী মহিলা নিয়মিত ভাবে অথবা সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন মাতৃ দুগ্ধ বৃদ্ধি করার জন্য কচু শাক খেতে হবে।
রাতকানা রোগ প্রতিরোধকঃ গর্ভাবস্থায় কচু শাক রাতকানা রোগের প্রতিরোধক হিসাবে অন্যতম ভূমিকা পালন করে কচুশাক ভিটামিন এ এর উৎস হিসেবেঅন্যতম ভূমিকা পালন করে গর্ব অবস্থায়।আর রাতকানা রোগসহ ভিটামিন এ এর অভাবে হওয়া সব ধরনের রোগ প্রতিরোধে কচু শাক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কচুশাকে ভিটামিন এ থাকে।
যা আমাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে চোখের ছানি থেকে বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করে ও চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই একজন গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়মিত মাত্রায় কচু শাক খান তাহলে ভ্রণের চোখ গঠনে বিশেষ সাহায্য করে, এছাড়াও বাচ্চা প্রসবের পরেও বাচ্চার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক ভালো সহায়ক হিসেবে কাজ করে কচুশাক।
ভিটামিন সি এর অভাব পুরনঃ কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, এ কারণে গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলাকে ভিটামিন সি ও ফলিক এসিড জাতীয় খাবার গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। একজন গর্ভবতী মহিলা ৮৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করতে পারবে এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার মিলিগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারবে তবে শুধুমাত্র ১০০ গ্রাম কচুশাক গ্রহণ করে ৪.৫ মিলিগ্রাম খুব সহজেই ভিটামিন সি গ্রহণ করতে পারবে।
দাঁতের মাড়ি মজবুতঃ কচু শাক দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় অনেক সময় গর্ভবতী মহিলার দাঁতের মাড়ি ব্যথা, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এই সমস্যা দূর করার জন্য কচুর সঙ্গে থাকা অত্যাধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, আয়রন অনেক বেশি সাহায্য করবে।
হাড় মজবুতঃহাড় মজবুত করতে কচু শাক অনেক উপকারী ।হাড় মজবুত,হাড়ের গঠন ,হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য আপনি কচুশাক খেতে পারেন। শুধুমাত্র ১৫০ গ্রাম কচুর শাকে ১৩% পর্যন্ত ক্যালসিয়াম রয়েছে। আর এ ক্যালসিয়ামের অভাবে একজন গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মহিলার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে মাজায় ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথ্ হাঁটুর ব্যথা ,হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা বা হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা ইত্যাদি এই বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বেশি সাহায্য করে কচুশাক। এছাড়াও গর্ভে থাকা বাচ্চার হাড় মজবুত, আর হাড় গঠন করতেও সাহায্য করেএই কচুশাক।
বিভিন্ন পুস্টিকর উপাদানঃ কচুশাকে রোয়েছে বিভিন্ন কুষ্টি উপাদান। একজন গর্ভবতীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই পুষ্টি উপাদান যেমন -ফাইবার, প্রোটি্ ভিটামিন এ, ভিটামিন স্ ভিটামিন বি, পটাশিয়া্ম, আয়র্ ক্যালসিয়াম, মেঙ্গানিজ্,ফলেট ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে ।যা নিয়মিত কচু শাক খেয়ে একজন গর্ভবতী মহিলার এই উপাদানের ঘাটতি মেটানো সম্ভব।
আয়রনের ঘাটতি মেটানোঃ কচু শাক আয়রনের ঘাটতি মেটাতে অনেক সহায়ক। গর্ভাবস্থায় আয়রনের প্রাকৃতিক অন্যতম উৎসের মধ্যে কচু শাক একটি। গর্ভকালীন সময়ে বেশিরভাগ মহিলাদের আয়রনের ঘাটতি জনিত রোগ দেখা দেয় যেমন -রক্তশূন্যতা ও রক্তস্বল্পতা বেশি দেখা দেয়। আয়রনের ঘাটতির কারণে মূলত রক্তশূন্যতা ঘটে এবং মাতৃ মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও শিশুদের মধ্যেও আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়।আর এজন্য গর্ভবতী মহিলা গর্ভ অবস্থায়এবং গর্ভে থাকা বাচ্চার আয়রনের ঘাটতি মেটানোর জন্য কচু শাক খেতে পারেন।
রক্তস্বল্পতা দূরঃ গর্ভ অবস্থায় কচুশাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যেকচুশাক রক্তস্বল্পতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কচুশাক অয়রন সমৃদ্ধ বলে এর সমাদর অনেক বেশি।কচুশাকে থাকা অত্যাধিক পরিমানে আয়রন রক্তস্বল্পতায় ভুক্তভোগী রোগীদের জন্য খাওয়া আবশ্যক বললেই চলে। আর একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য রক্তস্বল্পতা দূর করা কতটা জরুরী তা নিশ্চয়ই আপনারা সকলেই এ সম্পর্কে অবগত। আমাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে চিকিৎসা করা কচুশাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রনঃ একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য ডায়াবেটিস অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। এর জন্য গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরী। যেহেতু ১৫০ গ্রাম কচুশাকে মাত্র ১ গ্রাম ফ্যাট এবং খুবই সামান্য পরিমাণে চিনি রয়েছে ।যার কারণে গর্ভবতী এই শাক খেলে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাবে না বরং কচু শাক রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এনে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে
হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ গর্ব অবস্থায় বেশি ভাগ মহিলাদের কাছ থেকে শোনা যায় খাবার খেলে সহজে হজম কিংবা অল্প খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক জনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা দূর করার জন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় কচুশাক যুক্ত করতে পারেন। গর্ব অবস্থায় এটি আপনার হজম শক্তি বুদ্ধি এবং এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক জনিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে খুব সহজে সাহায্য করবে।
কোষ্ঠ কাঠিণ্য দূরঃ কচু শাক গর্ভ অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে বিশেষ সহায়ক। কচুশাক উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ বা আশ যুক্ত একটি খাবার। যার কারণে আমাদের হজম শক্তি অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। একজন গর্ভবতী মহিলা বেশিরভাগ সময় কষ্ট কাঠিন্যর সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর এটি একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।এ জন্য কোষ্ঠ কাঠিণ্যের সমস্যা দূর করার জন্য একজন গর্ভবতী মহিলা অবশ্যই খাদ্য তালিকায় কচুশাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকগন।
ওজন কমানোঃ একজন গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন বেড়ে যায়। আর গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন বেড়ে যাওয়া গর্ভবতির জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। আর এ ওজন কমাতে বা ওজন স্বাভাবিক রাখতে কচুশাক বেশ কার্যকরী। এতে থাকা ফাইবার ওমেটাবলিজম কে সক্রিয় করে এবং ওজন অনেক অংশে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
হার্ট সুস্থঃকচুশাক হার্টকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা রাখে। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে কচু শাক হাটকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এতে থাকা আসবা ফাইবার রক্তনালীতে চর্বি বা কোলেস্টেরল জমা হতেও বাধা সৃষ্টি করে যার ফলে খুব সহজে কচু শাক নিয়মিত খেলে গর্ব অবস্থায় হার্টকে সুস্থ রাখা সম্ভব হয়।
শক্তি সূচকঃ কচু শাকের সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। ভিটামিন বি এর অন্যতম একটি আমাদের সাস্থোর জন্য উপকারিতা হল এটি আমাদের খাবার থেকে শক্তি শোষণ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে যা কচু শাকে অত্যাধিক পরিমাণে রয়েছে এর জন্য একজন গর্ভবতী মহিলার কচু শাক খাওয়া আবশ্যক।
উচ্চ কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণঃ কচু শাক উচ্চ কলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে ।কচুশাকেএমন দুটি উপাদান রয়েছে যা কলেস্ট্রল কে সাহায্য করে। আর এই দুটি উপাদান হলো ফাইবার ট্রাই গ্লিসারাইড এবং মেথিওনিন। আর এ দুটি উপাদান ভেঙ্গেই কলেস্ট্রল কমায় এর জন্য কমাতে গর্ভাবস্থায় কচুশাক যুক্ত করতে পারেন আপনাদের খাদ্য তালিকায়।
মুখ ও ত্বকের রোগঃ বেশিরভাগ মহিলাদের গর্ভ অবস্থায় মুখে ঘা ও ব্রণ কিংবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর এ সমস্যাগুলোর মধ্যে বেশিরভসগ সমস্যা ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি এর অভাবে হয়ে থাকে একজন গর্ভবতীর মহিলার। এর জন্য আপনি যদি গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কচু শাক খান তাহলে গর্ব অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের তক ও মুখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও সমান ভূমিকা পালন করে কচুশাক।
চুল ওঠা বন্ধঃ গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় চুলের ও অনেক ক্ষতি হয়। একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ব অবস্থায় অত্যাধিক পরিমাণে চুল ওঠা জনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়।গর্ভাবস্থায় মহিলাদের প্রচুর পরিমানে চুল ওঠে যায়। আর এ সমস্যা দূর করতে কচু শাক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একজন গর্ভবতী মহিলা গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত কচুশাক খেলে কিছুটা তার চুল ওঠা রোধ হতে পারে।
রক্তপাতের সমস্যা দূরঃগর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাদের অক্সিজেন সরবরাহ বা শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কচু শাক শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ সচেতন রাখতে বেশ ভালো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর সঙ্গে থাকা আয়রন ও ফলেট রক্তের পরিমান বাড়ায় যার কারণে অক্সিজেন সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকে এবং এতে থাকা ভিটামিন রক্তপাতের সমস্যা খুব সহজেই প্রতিরোধ করে থাকে।
হৃদ রোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধঃ একজন গর্ভবতী মহিলা যদি গর্ব অবস্থায় নিয়মিত ভাবে কচু শাক খায় তাহলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব হয়। কারণ কচু শাকে রয়েছে অত্যাধিক মাত্রায় পটাশিয়াম ।আর কচু শাক রক্তে খারাপ কোলেস্ট্ররলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্ট্রলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।যার কারনে উচ্চ রক্তচাপে ভূক্তভোগী একজন গর্ভবতী মহিলা তার খাদ্য তালি্কায় কচুশাক যুক্ত করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কচুশাক এর অপকারিতা
গর্ভ অবস্থায় কচুশাকের ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে আমরা গর্ভাবস্থায় কচুশাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানলাম কিন্তু কোনো খাবার খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই তা কিভাবে খেলে বা বেশি পরিমাণে খেলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে তার জন্য তা জানা অত্যন্ত জরুরী। তাই এখন আমরা আপনাদের মাঝে গর্ভ অবস্থায় কচু শাকের উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরলাম।যেমন-
- পূর্ব থেকে কোন কিছুতে এলার্জি থাকলে গর্ভাবস্থায় কচু শাক খেলে সে ক্ষেত্রে এনার্জি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিংবা নিজে পরীক্ষিত হয়ে কচু শাক খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত প্রতিটি গর্ভবতী মহিলার।
- কচুশাকে অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদের গলা চুলকানোর মতো রোগ দেখা দিতে পারে। এরজন্য অবশ্যই খাওয়ার সময় লেবু কিংবা টক জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এটা মূলত কচুর পাতায় উপস্থিত অক্রালেট নামক উপাদানের কারণে হয়ে থাকে।
- গর্ভবতী মহিলা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কচুশাক খায় তাহলে এসিডিটি জনিত বা পাচনন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ এতে অ্যামিনো এসিড ও ফাইবার এর পরিমান অত্যাধিক হয়েছে। যার ফলে গর্ব অবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় কচু শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতেয়ার।
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় কচু শাক খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ওক্রাইড এর পরিমাণ বৃদ্ধি হতে পারে ফলে কিডনি জনিত বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
- অনেক সময় গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় কচু শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যার সৃস্টি হতে পারে বা পেট ভারি ভারি ভাব অনুভব হতে পারে ।কারণ এতে অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ উপাদান রয়েছে।
- গর্ভ অবস্থায় অধিক পরিমাণে কচু শাক খেলে ডায়রিয়া, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
কচুশাক খেলে কি এলার্জি হয়ঃ
কচুশাকে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যার কারণে যে সকল গর্ব বতীদের এলার্জি জনিত কোন সমস্যা থাকে তাহলে তাদের কচু শাক খাওয়া মোটেও ঠিক হবে না। কচুশাকে ক্যালসিয়াম অক্রালেট,র্যাফাইড নামক উপাদান রয়েছে যার কারণে অনেকের কিছু স্বাদ খেলে গলা চুলকায়। এ কারণে আপনার যদি এলার্জি থাকে তাহলে এ সকল উপাদান গুলো আপনার এলার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে বা হঠাৎ করে এলার্জি জনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
মূলত চিকিৎসকরা এলার্জিজনিত রোগীদেরকে কচু শাক, গরুর মাংস, বেগুন ইত্যাদি খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন। আর যদি আপনি কচু শাক খেতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন।
কচুশাক খেলে গলা চুলকায় কেন
অনেক কচুশাক আছে যা খেলে গলা চুলকায়। অনেক সময় ভালো মানের কচুর পাতা বাছাই না করার কারনে গলা চুলকায়। তবে কচুশাকে ক্যালসিয়াম অক্রালেট এবং র্যাফাইড নামক দুটি উপাদান থাকার কারণে গলা চুলকায়। তবে এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য এবং কচুশাকের আসল স্বাদ পাওয়ার জন্য রান্না করার সময় কচুসাকের ভিতরে টক জাতীয় উপাদান লেবু কিংবা তেতুলবা শিরকা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও খাবার সময় লেবু ব্যবহার করেও খেতে পারেন, এতেও আপনার গলা চুলকানো কমে যাবে।
কচুশাকে কি ভিটামিন আছে
কচুশাকে কি ভিটামিন আছে এবং যে ভিটামিন গুলো রয়েছে সেগুলো কি কি এবং কোন ভিটামিন রয়েছে ।এগুলো সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জেনেছি।কচুশাক গর্ভাবস্থায় আমাদের জন্য কতটা উপকারী। কচুশাকে অত্যাধিক পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে বিশেষ করে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়া্ম, ম্যাঙ্গানি, লৌহ পদার্থ,
ভিটামিন বি৬,ভিটামিন ডি ১২, ক্যালসিয়াম,৩৯ গ্রাম প্রোটিন,৬গ্রাম শর্করা্, ১৫ গ্রাম চর্বি,২২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১০ মিলিগ্রাম আয়রন ইত্যাদি উপাদান গুলো খাদ্য শক্তি এ্রর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এসকল ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। আশা করি কচুশাকে কি ভিটামিন আছে সেই সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
কচুশাক খেলে কি ওজন কমেঃ
গর্ভাবস্থায় পশুর স্বাদ খাওয়ার বৃষ্টির উপকারিতা ও অপকারিতা কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয় এর সম্পর্কে জানলাম কিন্তু গর্ভাবস্থায় অনেকেরই অস্বাভাবিক হারে ওজন বৃদ্ধি পায় যা অত্যন্ত ছুটির বিষয় তো গুণসম্পন্ন কচু শাক দিয়ে ওজন কমাতে চান খেলে কি ওজন কমে এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে চলুন এর সঠিক উত্তরটি জেনে নেই।
জি হ্যা,কচুশাকখেলে ওজন কমে কারন এতে অত্যাধিক পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। আর এই ফাইবার আমাদের ওজন কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। ফাইবার আমাদের পেট অনেক ক্ষন পর্যন্ত ভরা রাখে এবং এদের মধ্যে থাকা সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের সকল ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সহজেই মিটায়।
যার কারনে আমাদের শরীর সহজে দূর্বল হয়না।এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন
করে। এছাড়াও এটি যেহেতু আমাদের পেট পরিষ্কার বা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্যাট বা চর্বি জমে না, যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনেকটাই সাহায্যকারী হিসাবে কাজ করে।
কচুশাক ইংরেজি কিঃ
এখন আমরা জানবো কচুশাক ইংরেজি কি।কচুশাক এর ইংরেজি হলো-Colocasia leaves. বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক রকম কচু শাক পাওয়া যায়। কচু শাক অনেক প্রকার হয়ে থাকে যেমন- দুধ কচু, বিষ কচু,শোলা কচু, মৌলভী কচু,সাহেবি কচু,থামা কচু, কাজল কচু ইত্যাদি।এসকল কচু ছাড়াও আরো অনেক প্রকার কচু আমাদের আশে- পাশা বা বোন- জঙ্গলে,
খাল-বিলে ইত্যাদি স্থানে পাওয়া যায়। এই গাছের উচ্চতা সর্বোচ্চ ৯০ থেক.১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এদের জীবনকাল ১২০ থেকে ২১০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে বানিজ্যিক ভাবে এই কচু শাকের চাষাবাদ করা হচ্ছে।
কচুশাক বিশেষ ভাবে মূল্যবান যে উপাদানের জন্যঃ
আমরা জানি কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। কিন্তু এই ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ গুলোর মধ্যে কচু শাক বিশেষভাবে যে উপাদানের জন্য এবং যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর তা হলো কচুশাকে থাকা প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান।কচুশাকের লৌহ উপাদানের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে বলা হয় এটি কচু শাকের মূল্যবান উপাদান।
কচুশাকে থাকা এই মূল্যবান লৌহ উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি।কারন গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরে অনেক পুস্টি উপাদানের প্রয়োজন দেখা দেয়।এজন্য কচুশাক দরকার
এই অত্যন্ত মূল্যবান স্বাস্থ্য করী লৌহ পুষ্টি উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা আশা করি আপনারা উপরোক্ত কচুর শাকের উপকারিতা সম্পর্কে পড়ে জানতে পেরেছেন।
কচুশাকের পুস্টি উপাদান
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা, কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানলাম। এখন আমরা কচু শাকের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানব,আমরা যে খাবারটির এত স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। সে খাবারটির পুষ্টিগুণ কি কি রয়েছে।
এবং সে খাবারটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা কি,এবংকি পুষ্টি উপাদান দিয়ে মেটাবে তার সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। তাই চলুন দেরি না করে কচু শাকের পুষ্টি উপাদান গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
১০০গ্রাম কচুশাকে রোয়েছে-
- আমিষ- ১.৫গ্রাম।
- শর্করা-১১২৬.৪৬গ্রাম।
- খাদ্য আশ-৪.১গ্রাম।
- চিনি-০.৪গ্রাম।
- সোডিয়াম-১১ মিলিগ্রাম।
- ভিটামিন এ-৪৬ আইইউ।
- ভিটামিন সি-৪. ৫মিলিগ্রাম।
- ভিটামিন ই-২.৩৮মিলিগ্রাম।
- ক্যালসিয়াম-৪৩মিলিগ্রাম।
- আয়রন-০.৬৩মিলিগ্রাম।
শেষ কথাঃ
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা, কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয় ইত্যাদি ছাড়াও কচু শাক সম্পর্কে জানা- অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেস্টা করেছি।আমার আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বন্ধুদের মধ্যে জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এবং এমন আরো তথ্য জানতে চাইলে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখু্ন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন এবং পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url