কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায় এবংপ্রতিরোধ কি

করলা খাওয়া শরীরের জন্য ভালো

চুল পড়া একটি সাধারন সমস্যা,যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো- ভিটামিনের অভাব। ভিটামিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য এবং তাদের অভাব চুলের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।চুলের অযত্নের কারনেও চুল পড়ে যায়।অতিরিক্ত সময় ধরে চুল ভিজা রাখার কারনেও চুল পড়ে যায়।

নিয়মিত ভাবে চিরনি না করার জন্য ও চুল পড়ে যেতে পারে।চুল অতিরিক্ত অপরিস্কার থাকার জন্য ও পড়ে যায়।বয়স্কদের ও বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়া শুরু হয়ে যায়।তবে কিছু কিছু সমস্যা আছে যা নিয়ম মেনে চললে তা রোদ করা সম্ভব। নিচে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবের সাথে চুল পড়ার সম্পর্ক এবং এর প্রতিকার কি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়
  • চুল পড়ার অন্যান্য সম্পর্কিত কারণ
  • চুলের যত্নে সঠিক পদ্ধতি
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
  • ঘরোয়া প্রতিকার
  • ক্ষতিকর অভ্যাস এড়িয়ে চলা
  • চিকিৎসা সহায়তা
  • অতিরিক্ত টিপস
  • শেষ কথা

কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়

চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে ভিটামিন এ, বি- কমপ্লেক্স( বিশেষ করে বায়োটিন), ভিটামিন সি, ডি এবং ই উল্লেখযোগ্য। এই ভিটামিন গুলোর অভাব হলে চুল ভঙ্গুর হতে পারে এবং চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এবং চুল দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। নিচে এই ভিটামিন গুলোর ভূমিকা এবং অভাবের প্রভাব বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো-

১. ভিটামিন বি -কমপ্লেকঃ( বিশেষ করে বায়োটিন) ঃ বায়োটিন ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বায়োটিন চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এটি কেরাটিন উৎপাদনে সহায়তা করে যা চুলের প্রধান উপাদান। বায়োটিনের অভাব সাধারণত বিরল, কারণ এটি বিভিন্ন খাবারে পাওয়া যায় এবং আমাদের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ায় এটি উৎপন্ন করে।

তবে, দীর্ঘমেয়াদি এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার, অ্যালকোহল সেবন, বা পুষ্টিকর খাবারের অভাবে বায়ো টিনের ঘাটতি হতে পারে। বায়োটিনের অভাবে চুল পড়া, চুল পাতলা হওয়া, চুল ভঙ্গুর হওয়া তোকে এবং তকে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। এছাড়া নখ ভঙ্গুর হওয়া এবং ক্লান্তি অনুভব হওয়া ও এর কারণ হতে পারে। 

ডিমের কুসুম, বাদাম, লিভার, অ্যাভোকাডো এবং পূর্ণ শস্যে বায়োটিন পাওয়া যায়। বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বা চিকিৎসকের পরামর্শে বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহন চুল পড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু এখানে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ও ব্যবহার করা যেতে পারে তাতেও চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে।
২. ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি চুলের ফলিকলের বৃদ্ধি এবংপুনর্জনন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।এটি চুলের ফলিকলের জীবন চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। সূর্যালোকের অভাব, অন্দরে বেশি সময় কাটানো এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের অভাব এই ঘাটটির কারণ হতে পারে।
কিন্তু ভিটামিন ডি এর অভাবে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে, বিশেষ করে অ্যালোপেসিয়া অ্যারিয়াটার মতো  অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রে। এছাড়া হাড়ের দুর্বলতা, ক্লান্তি এবং মানসিক অবসাদ  এর লক্ষণ। ফ্যাটি মাছ( স্যামন,ম্যাকারেল), ডিমের কুসুম,দুগ্ধজাত পণ্য, এবং ভিটামিন ডি ফর্টিফায়েড খাবারের উৎস।তবে নিয়মিত সূর্যালোক গ্রহণ দিনে ১৫থেকে ৩০ মিনিট ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং প্রয়োজনে  চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা প্রয়োজন।

৩. ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোলাজেন উৎপাদনের সহায়তা করে। চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং চুলের গোড়াকে সুস্থ রাখে।এছাড়া ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণের সহায়তা করে, যা চুল পড়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হতে পারে।
 যার লক্ষণ হল- চুল পড়া, দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া এবং ত্বক শুষ্ক হওয়া। তবে তাজা ফল মুল এবং শাকসবজির অভাবে ভিটামিন সি -এর ঘাটতি হতে পারে।সাইট্রাস ফল(কমলালেবু,লেবু),স্ট্রবেরি,
কিউই,বেল পিপার, এবংসবুজ শাকসবজি এগুলো থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা প্রয়োজন।

৪. ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই- এর শক্তি শালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা মাথা্র ত্বক এবং চুলের ফলিকলকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ভিটামিন ই-এর অভাবে মাথার ত্বক সুস্থ হয়ে যেতে পারে। যার ফলে চুল পড়া বাড়তে পারে ।
ভিটামিন ই- এর অভাব সাধারণত অপুষ্টি বা চর্বি শোষনে সমস্যার কারণে হয়। বাদাম, পালং শাক, বীজ,অ্যাভোকাডো এবং উদ্ভিজ্জ তেল এগুলো ভিটামিন ই- এর খাদ্য উৎস। তাই সবাইকে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন।

৫. ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ-মাথার ত্বকের সিবাম (প্রাকৃতিক তেল) উৎপাদনে সহায়তা করে। যা চুলকে আদ্র রাখে এবং চুল পড়া রোধ করে। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহন ও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। ভিটামিন এ-এর অভাবে মাথার ত্বক শষ্ক হয়ে যায়, যা চুল পড়ার কারণ হতে পারে। এছাড়াও ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং রাতকানা রোগ ও হতে পারে।

 ভিটামিন এ- সমৃদ্ধ খাবারের অভাব এবং অপুষ্টির কারণে চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।মিষ্টি আলু গাজর, কুমড়ো, পালং শাক এবং লিভার এই খাবারগুলো ভিটামিন এ-এর উৎস। ভিটামিনএ-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। যদি অতিরিক্ত চুল পড়ে( দিনে ১০০টির বেশি), তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আয়রন, থাইরয়েড বা ভিটামিনের ঘাটতি ধরা পড়তে পারে এবং প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।

চুল পড়ার অন্যান্য সম্পর্কিত কারণ

ভিটামিনের অভাব ছাড়াও চুল পড়ার জন্য অন্যান্য কারণ  হতে পারে, যেমন-
  • জিংকের অভাবঃ জিন চুলের বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এর অভাবে চুল পড়া এবং মাথার ত্বকের সমস্যা হতে পারে
  • আয়রনের অভাবঃ আয়রন চুলের ফলিকলের জন্য অক্সিজেন সরবরাহের সহায়তা করে এর অভাবে চুল পড়া বাড়তে পারে
  • হরমোনাল ভারসাম্যহীনতাঃ থাইরয়েড সমস্যা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম(PCOS) চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
  • জেনেটিক কারণঃ পুরুষ এবং মহিলাদের প্যাটার্ন বাল্ডনেস জেনেটিকভাবে হতে পারে।

চুলের যত্নে সঠিক পদ্ধতি

  • মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহারঃ সালফেট মুক্ত শ্যামপুর ব্যবহার করুক, যা মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে না। সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করুন।
  • কন্ডিশনারঃ শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, চুলের আদ্রতা ধরে রাখতে।
  • তেল মালিশঃ নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল,বাদাম তেল দিয়ে সপ্তাহে ১-২ বার মাথার ত্বকে মালিশ করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।
  • চিরনির ব্যবহারঃ ভেজা চুলে চিরুনি না করা এবং চওড়া দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা ভালো।
  • গরম পানি এড়িয়ে চলুনঃ চুল ধোয়ার সময় গরম পানি পরিবর্তে হালকা গরম বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।
  • করণীয়ঃ রাসায়নিক মুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন এবং চুলের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখতে সতর্ক থাকুন।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ

মানসিক চাপ চুল পড়ার একটি বড় কারণ।যা চুলের বৃদ্ধি চক্রকে বাঁধাগ্রস্ত করে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। পর্যাপ্ত ঘুম যেমন- ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এবং প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধ্যান যোগব্যায়াম করা জরুরী । মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজনে গান শোনা, বই পড়া, বা বাগান করার মত মানসিকতা তৈরি করতে হবে।এবং স্ট্রেস কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং প্রয়োজনে মনোবিদের সাথে কথা বলুন।

ঘরোয়া প্রতিকার

কিছু প্রাকৃতিক উপায় চুল পড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে যেমন-
  • অ্যালোভেরাঃ জেল মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাথার ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং খুশকি দূর করে।
  • মেথিঃ মেথির বীজ রাতভর পানিতে ভিজিয়ে বেটে পেস্ট করে মাথার ত্বকে লাগন। এটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ।এটি চুল পড়া কমায় এবং খুশকি দূর করে।এটি চুলের গোড়া মজবুত করে।
  •  পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে লাগালে চুলের বৃদ্ধি বাড়ে। পিয়াজের রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।এটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুলপড়া কমায়।
  • নারকেল দুধঃ নারকেল দুধ চুলে এবং মাথার ত্বকে মালিশ করে ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে নরম ও চকচকে করে।
  • আমলকিঃ আমলকির গুঁড়া বা তেল চুলের জন্য উপকারী। এগুলো মাসে একবার ব্যবহার করুন। এটি অকালে চুল পাকা রোধ করে। তবে ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করুন এবং ধৈর্য ধরে নিয়মিত ব্যবহার করুন।
  • ডিমের মাস্কঃ একটি ডিমের সাদা অংশ বা পুরো ডিমের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু এবং১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন ।এটি চুলকে প্রোটিন সরবরাহ করে এবং মজবুত করে।

ক্ষতিকর অভ্যাস এড়িয়ে চলা

চুলের অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং(হেয়ার ড্রায়ার,স্ট্রেইটনার)বা টাইট হেয়ারস্টাইল এড়িয়ে চলতে হবে।এবং ঘন ঘন হেয়ার কালার,পার্ম,বা রিবন্ডিং চুলের ক্ষতি করে। ধূমপান ও অ্যালকোহল এগুলো চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে। তবে চুলের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এমনকাজ এড়িয়ে চলুন। যদি আপনি এই ক্ষতি কর অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলার অভ্যাসে পরিণত করুন।

 তাহলে আপনার চুল পড়া রোধ হতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করুন এবং অ্যালকোহল গ্রহন সীমিত করুন। তাই আপনি ক্ষতিকর অভ্যাস গুলো এড়িয়ে চলুন। তাই প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন- মেহেদী ব্যবহার করুন। প্রতিদিন শ্যাম্পু করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি চুলের প্রাকৃতিক তেল কেড়ে নেয়। কিন্তু নিয়মিত চিরনি পরিষ্কার করুন এবং বালিশের কভার সপ্তাহে একবার ধুয়ে ফেলুন। এটি মাথার ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

চিকিৎসা সহায়তা

যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজ না হয়, চুল পড়া রোধ না হয় তবে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সহায়তা নিন।যেমন- চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য ডাক্তাররা মিনোক্সিডিল স্প্রে বা ফোম সুপারিশ করতে পারেন।(PRP) প্লেটলেট-রিচ প্লাজমা থেরাপি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে লেজার থেরাপি নিম্নস্তরের চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করে।

কিন্ত হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট এটি গুরুতর ক্ষেত্রে একটি বিকল্প হতে পারে। গুরুতর টাক পড়া বাছুর পাতলা হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট একটি স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এটি একটি ব্যয়বহুল এবং বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে করা প্রক্রিয়া।কিন্ত হরমোন জনিত সমস্যা বা সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিকিৎসক নির্দিষ্ট ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট যেমন- বায়োটিন,আয়রন সুপারিশ করতে পারেন।

 সেক্ষেত্রে কোন চিকিৎসা শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করুন। কেননা শরীরের যে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

অতিরিক্ত টিপস

চুলের আগা ফাটা রোদ.৬-৮ সপ্তাহ পর পর চুল ছাটাই করুন বা ছাঁটুন। কারণ এটি দিশাখ চুল প্রতিরোধ করে।তবে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন।কারন খুশকি বা মাথার ত্বকের সমস্যা থাকলে অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এবং ধৈর্য ধরুন চুল পড়া কমাতে সময় লাগে।তবে নিয়মিত যত্ন নিলে ৩ থেকে৬ মাসের মধ্যে ফলাফল দেখা যায়।
তাই যদি মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা লাল ভাব দেখা দেয়। যদি হঠাৎ করে অতিরিক্ত চুল পড়ে যায়। এবং চুল পড়ার সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য লক্ষণ যেমন- ওজন কমা,এবং ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়া। এমত অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

শেষ কথাঃ

চুল পড়া একটি সাধারন সমস্যা, বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো- ভিটামিনের অভাব। ভিটামিন আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য এবং তাদের অভাব চুলের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে এবং চুলের অযত্নের কারণেও চুল পড়ে যায়। তবে চুল পড়া রোধে সুষম খাদ্য, সঠিক যত্ন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিতভাবে চিরুনি না করা এবং অতিরিক্ত অপরিষ্কার রাখার জন্য চুল পড়ে যায়। বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। তবে নিয়ম মেনে চললে চুল পড়া রোধ করা সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া পদ্ধতি কাজ করতে পারে, তবে সমস্যা গুরুতর হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। নিয়মিত যত্ন ও ধৈর্যের মাধ্যমে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব ।












এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url